সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:১৭ অপরাহ্ন
বানিয়াচং (হবিগঞ্জ) সংবাদদাতা : বানিয়াচংয়ে পবিত্র রমজানেও থেমে নেই পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিং। তারাবীর নামাজের সময়, সেহরী ও ইফতারের সময় চলছে ঘনঘন লোডশেডিং। টেকিনিক্যাল সমস্যা,ওভারলোড,ও লো-ভোল্টেজ ছাড়াও রয়েছে ঘনঘন ট্রিপ ও সোর্স লাইন রক্ষণা-বেক্ষণের কাজ। সর্বোপরি আকাশে মেজ জমতে দেখলেই বা বিদ্যুতের তাঁরে বৃষ্টির ফোটা পড়লেই বিদ্যুৎ চলে যায়। আবার বিদ্যুৎ থাক বা না থাক মাস শেষে মোটা অংকের বিদ্যুৎ বিল ধরিতে দিতে ভুল করেনা কর্তৃপক্ষ। যদিও বিদ্যুৎ না থাকার উপর নির্ভর করে বিদ্যুতের ব্যবহার।
হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতের আওতাধীন বানিয়াচং উপজেলাতে ৭০ হাজারেও বেশি গ্রাহক পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিং নিয়ে পড়েছেন মহা বিপাকে। এদিকে প্রতিদিন নির্দিষ্ট কিছু সময় বিদ্যুতের লোডশেডিং যেন রুটিনে পরিণত হয়েছে। পবিত্র রমজান মাসে তারাবী,সেহরী ও ইফতারের সময় চলছে বিদ্যুতের আসা-যাওয়া। অন্য সময় যেমন প্রতিদিন সন্ধ্যায়,দুপুরে এবং গভীর বা ভোর রাতে পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিং হতে দিতেই হবে। প্রতিদিন ভোর রাতে বিদ্যুৎ চলে যায় এবং পরবর্তীতে সকালের দিকে বা তার পরও বিদ্যুতের দেখা মিলে। সামান্য বৃষ্টির পানি মাটিতে পড়ার সাথে সাথেই বিদ্যু চলে যায়। আর কখন যে আসে তার কোনো ইয়ত্তা নেই। অফিসের দেয়া অভিযোগ নাম্বারে অভিযোগ জানালেও কোনো ফল পাওয়া যায়না। সবসময় ই ব্যস্ত থাকে এই নাম্বার। বিদ্যুৎ বিভাগের এই উদাসীনতার কারণে উপজেলাবাসীকে অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে লোডশেডিংয়ের ফলে।
এদিকে বিদ্যুতের এই অবস্থায় ব্যবসা বাণিজ্যে মান্দাভা নেমেছে তেমনি পবিত্র রমজান মাসে পল্লী বিদ্যুতের ঘনঘন লোডশেডিংয়ের ফলে অতিষ্ঠ্য হয়ে উঠছেন রোজাদাররা। ফোন দিলেই সেই পুরনো ৩৩ কেভি লাইনের দোহাই দেয়া হয়। মসজিদে আজান দেয়ার সময় আজানের মধ্যেই চলে যায় বিদ্যুৎ। এনিয়ে স্থানীয় মুসল্লিদের মাঝেও ক্ষোভ বিরাজ করছে। আবার বানিয়াচংয়ের দক্ষিণাঞ্চলের বিদ্যুৎ বিনা কারণে বন্ধ রেখে উত্তরাঞ্চলে ঠিকই রাখা হয় বলে গ্রাহকরা জানান। বরাবরই বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন দক্ষিণাঞ্চলের গ্রাহকরা। পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের ফলে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় মারাতœক বিঘœ ঘটছে। অফিসপাড়ার কর্মকর্তা কর্মচারীদের জরুরী কর্মকান্ড করতে গিয়ে সময়ক্ষেপণ হচ্ছে। পাশাপাশি বানিয়াচংয়ে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীদের সংবাদ প্রেরণে দারুণ ভাবে বিড়ম্বনা পোহাতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে বানিয়াচং পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম প্রকৌশলী আমজাদ হোসেন জানান, নরমালি এখন কোন লোডশেডিং নাই। আর এই উপজেলাতে বিদ্যুতের চাহিদা নাই, পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ রয়েছে।